লালী বা ঝোলা গুড়
ঝোলা গুড় মানে হল তরল গুড়। এই গুড় বানানো সবচাইতে দক্ষতার পরিচয় বহন করে। ঠিক কোন সময় চুলা থেকে রস নামালে এই গুড় জমাট বাধবেনা বা দানা ধরবে না সেইটা বুঝতে না পারলে এই গুড়ের আসল স্বাদ পাওয়া যায় না।
বেশি জ্বাল হয়ে গেলে দানা বেধে এইটা অন্য একটা গুড় মানে দানাদার গুড়ে পরিনত হবে। আবার কম জ্বাল দিলে এইটা বেশি পানি পানি থেকে যাবে ফলে খুব দ্রুত এই গুড় নষ্ট হয়ে যাবে।
তাই এই গুড় বানানোর জন্য সবচাইতে দক্ষ গাছীর প্রয়োজন।
এই গুড়ের মূল সমস্য
এই গুড়ের নিচে চিনির মত আস্তরন জমা হয়। রস ঘন হতে থাকলেই সেই রসে দানা বাধতে শুরু করে। দানা বাধতে বাধতে এক সময় সেটা পাটালি গুড়ে পরিনত হয়ে যায়। তাই কমবেশি অনেক ঝোলা গুড় কিছুদিন রেখে দিলে আস্তে আস্তে তলে দানার আস্তরন জমা হয়ে যায়। যদিও এইটা একদম ন্যাচারাল একটা প্রক্রিয়া কিন্তু অনেকেই এই দানাদানা গুড় পছন্দ করেন না আবার অনেকেই এইটা চিনি দেয়া গুড় মনে করে থাকেন।
দুই নম্বর সমসা হল, এই গুড়ে পানির উপস্থিতি আছে কেননা এই গুড় তরল গুড়। পানি থাকার কারনে এই গুড় বাইরে রাখলে বাজে গন্ধ হয়ে যায়। মুখ যদি টাইট করে আটকানো থাকে আর কয়েকদিন খোলা না হয় তবে ভিতরে গ্যাস হয়ে যায়। মাঝে মাঝে গুড়ের উপরে সাদা ছাতার মত পড়তে দেখা যায়। যেহেতু খাদ্য সংরক্ষনের জন্য কোন প্রিজারভেটিভ ব্যবহার করা হয় না তাই এই খাবার বেশি দিন বাইরে সংরক্ষন করা যায় না।
ঝোলা গুড় সংরক্ষন
ঝোলা গুড় যদি বেশিদিন সংরক্ষন করতে চান তবে সেটা ফ্রিজে রাখাই হল সবচাইতে উত্তম কাজ।
এতে গুড়ের স্বাদ ও ঘ্রান ঠিক থাকবে।
আর দীর্ঘদিন রাখলে তলে কিছু দানা পড়বেই। এইটা নিয়ে কোন চিন্তার কিছুই নাই বরং দানা আলাদা করে চা অথবা বিভিন্ন নাস্তার সাথে ব্যবহার করতে পারেন।
Reviews
There are no reviews yet.